চার নারী ধর্ষণ: ‘আংশিক’ ব্যর্থতা স্বীকার করল পুলিশ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শাহ মীরপুরের এক বাড়িতে চার নারীকে ধর্ষণের পর মামলা নিতে গড়িমসির ঘটনায় পুলিশের ‘আংশিক ব্যর্থতা’ ছিল বলে স্বীকার করেছেন একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা।

ওই ঘটনা নিয়ে সোমবার দুপুরে কর্ণফুলী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) হারুণ উর রশিদ হাযারি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “অস্বীকার করার কিছু নেই। ওই বিষয়ে পুলিশের আংশিক ব্যর্থতা ছিল।”

গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় তিন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার নারীরা ঘটনার পরদিন মামলা করতে গেলে ঠিকানা জটিলতার কথা বলে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ।

পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাবুর হস্তক্ষেপে পাঁচ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে।

মামলা নিতে বিলম্ব এবং ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে গড়িমসির অভিযোগে কর্ণফুলী থানার ওসি সৈয়দুল মোস্তফাকে প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর মানববন্ধন করে নারী উন্নয়ন ফোরাম নামের স্থানীয় একটি সংগঠন।

উপ-কমিশানার হারুণ উর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মামলা নেওয়া এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশের আংশিক ব্যর্থতা ছিল। তখন বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার ছিল।”

নারী উন্নয়ন ফোরামের অভিযোগ, অনেক তালবাহানা শেষে পুলিশ মামলা নিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ না করে ‘অযথা সময়ক্ষেপণ’ করছে।

ধর্ষকদের সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনরের কার্যালয় এবং পরদিন কর্ণফুলী থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে সংগঠনটির।

Be the first to comment on "চার নারী ধর্ষণ: ‘আংশিক’ ব্যর্থতা স্বীকার করল পুলিশ"

Leave a comment

Your email address will not be published.




3 + 19 =