কিসিঞ্জারকে বাংলাদেশ দেখে যাওয়ার আহ্বান

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের মেয়েরা এখন সাইকেলে চেপে স্কুলে যায়। মেয়েরা অজোপাড়া থেকে গার্মেন্টে এসে কাপড় বুনিয়ে বিশ্বকে সভ্য করে। বাংলাদেশের নারীরা এখন বৈমানিক। এ দেশের মানুষের ঘাম ঝরানো অর্থে পদ্মা সেতু হচ্ছে। হাজারো স্বপ্ন বাস্তবায়নের নাম এখন বাংলাদেশ।

প্রায় অর্ধশত বছর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে অভিশপ্ত তকমা দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয় আর, বাংলাদেশের তলা এখন বেশ শক্ত। যেখানে দাঁড়িয়ে বিশ্বকেও চ্যালেঞ্জ করতে দ্বিধা করে না এখানকার মানুষ।

‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা দেয়া হেনরি কিসিঞ্জারকে বাংলাদেশ দেখে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আরএফএল। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে এই আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ উপলক্ষে অনলাইনে একটি কাম্পেইনও চলছে, যাতে সবাই অংশগ্রহণ করে একই আহ্বান জানাতে পারেন। নাম, মোবাইল নম্বর অথবা ই-মেইল ব্যবহার করে যে কেউ এই আহ্বান জানাতে পারবেন।

কিসিঞ্জারকে বাংলাদেশ দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে যেতে হবে এই ঠিকানায় https://invitekissingerbd.com/। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার নাম এবং মোবাইল অথবা ই-মেইল অ্যাড্রেস দেয়ার পর ইনভাইট বাটনে ক্লিক করলে কিসিঞ্জারের কাছে আমন্ত্রণ চলে যাবে। সঠিকভাবে আমন্ত্রণ জানানোর পর আমন্ত্রণকারী পাবেন আরএফএলের সকল পণ্যে ১৬ শতাংশ ছাড়ের বিশেষ অফার।

কিসিঞ্জারকে আমন্ত্রণ জানানোর সাইটিতে বলা হয়, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে বাংলাদেশকে তুচ্ছ করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। বাংলাদেশ কী তলাবিহীন ঝুড়ি? যদি তা না হয়, চলুন কিসিঞ্জারকে আমন্ত্রণ জানাই বাংলাদেশে। সে এসে দেখে যাক, বাংলাদেশ নামক ঝুড়িটার তলা কতোটা শক্ত ও মজবুত! যেখানে আমরা ১৬ কোটিরও বেশি মানুষ হাজারো সাফল্য নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছি।’

ওয়েবপেজটিতে হেনরি কিসিঞ্জারের ছবি দিয়ে আরও বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি না, আমরা নতুন বাংলাদেশ।’

স্বাধীনতার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস’ অর্থাৎ তলাবিহীন ঝুড়ি। এখানে যত অর্থই ঢালা হবে, তলা না থাকায় কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।

হেনরি কিসিঞ্জারের সে উক্তি মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছেন তারই দেশের সাবেক পরারাষ্টমন্ত্রী জন কেরি। গেলো বছরের ২৯ আগস্ট ঢাকা সফরে এসে জন কেরি বলেছিলেন, মেধা, পরিশ্রম আর একাগ্রতার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

হাজারো প্রতিবন্ধকতা পায়ে মাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে দীর্ঘ ২৫ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে গড়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হার সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি বাড়েনি। পরের ১০ বছর জিডিপি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ হারে। আর গত ১২ বছর ধরে দেশের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এখন তা ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আশা আর সম্ভাবনা জাগানিয়া নতুন পরিচয় মেলে ধরছে বাংলাদেশ।

Be the first to comment on "কিসিঞ্জারকে বাংলাদেশ দেখে যাওয়ার আহ্বান"

Leave a comment

Your email address will not be published.




one × two =