শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায়

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : দেশের শিল্প কারখানার শ্রমিকদের জন্য বেতন-ভাতা বাড়ানো নিয়ে আজ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে মজুরি কমিশন পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বৈঠকে।

এনজিওগুলো শ্রমিকদের কল্যাণের কথা বলে বিদেশ থেকে যে তহবিল আনে সেটা একই উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হয় কি না সে বিষয়েও আলোচনা হয়।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে শিল্প কারখানার পরিবেশ ও শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়াতে মজুরি কমিশন পুনর্গঠনের প্রস্তাব করেন। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। তিনি বলেন, আগের তুলনায় শ্রমিকদের অবস্থা এখন ভালো, তারা ভালো বেতন পান। শিল্পকারখানাগুলোতে ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ভালো পরিবেশ বিরাজ করছে, তাদের অবস্থা ভারো। তবে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া উচিৎ। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর জন্য তাদের দিক থেকে একটা দাবি আছে, তারা এটা প্রত্যাশা করেন।

সূত্র আরও জানায়, এ আলোচনায় অংশ নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বর্তমানে শ্রমিকরা ৭/৮ হাজার টাকা বেতন পান। শিল্প শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রত্যাশা আছে তাদের বেতন আরেক ধাপ বাড়ুক। সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বেড়েছে, শ্রমিকদেরও বেতন-ভাতা আরেকটু বাড়ানো উচিৎ। এক্ষেত্রে মজুরি কমিশন পুনর্গঠন করা যেতে পারে।

শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর মজুরি কমিশন পুর্নগঠন করার নিয়ম আছে, যদিও এটা বাধ্যতামূলক নয়, তারপরও এটা করা যেতে পারে।

সর্বশেষ মজুরি কমিশন গঠন করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। মজুরি কমিশন গঠনের ৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে ২০১৮ সালে।

কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাদের মতামত শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো মন্তব্য করেননি।

আলোচনায় শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়টিও উঠে আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাইরের লোকেরা এসে অনেক সময় ট্রেড ইউনিয়ন করে। শ্রমিকদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু তখন বলেছেন, আসলে বাইরে থেকে এসে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ নেই। যারা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক তারাই ট্রেড ইউনিয়ন করে। তবে অনেক সময় এনজিওরা গিয়ে শ্রমিকদের ভুল বোঝায়।

Be the first to comment on "শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায়"

Leave a comment

Your email address will not be published.




three × 4 =