প্রশ্নপত্র ফাঁসে কিছু শিক্ষক জড়িত : শিক্ষামন্ত্রী

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে কিছু শিক্ষক জড়িত। তারা আগেই অ্যারেঞ্জমেন্ট করে রাখেন, প্রশ্নপত্র ছাত্রদের দিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে বিজি প্রেস (সরকারি ছাপাখানা) ছিল প্রশ্ন ফাঁসের খুবই রিস্কি জায়গা। এখন সেখানে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রশ্ন ছাপার পর আমরা তা জেলায় পাঠাচ্ছি- সেখানে ফাঁসের কোনো সম্ভাবনা নেই, থানায় পাঠাচ্ছি সেখানেও সম্ভাবনা নেই। কেবলমাত্র সকাল বেলা ওই দিনের প্রশ্ন প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। আমরা সকালে যখন শিক্ষকদের হাতে প্রশ্ন দেই তখন কিছু শিক্ষক আছেন, যারা সেটা আগেই অ্যারেঞ্জমেন্ট করে রাখেন। প্রশ্নপত্র ছাত্রদের দিয়ে দেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এবার পদক্ষেপ নিয়েছি। নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকবে। এতে তাদের সুবিধাও হবে। একটু রেস্ট পাবে। খাতায় তার নামধাম লেখালেখির কাজও সেরে নেবে। আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নের খামটা খোলা হবে। এ বছরও সাড়ে ৯টার পরে একটি প্রশ্ন ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছে। শিক্ষকের হাতে যখন প্রশ্নপত্রটি গেল তখন নিরাপত্তা ব্যাহত হল। এ জন্য আমরা শিক্ষকদের নৈতিকতার উন্নতির বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
পরীক্ষার সময় শিক্ষকদের স্মার্টফোন ব্যবহর নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার হলে কেউ স্মার্টফোন নিয়ে যেতে পারবে না। একান্ত যোগাযোগের জন্য আনস্মার্ট ফোন নিতে পারবে। তবে সেটাও পরীক্ষার সময় অফিস রুমে রাখতে হবে।

প্রশ্নফাঁস রোধে সংসদ সদস্যসহ সবার সহযোগিতা চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁস যাতে বন্ধ হয় এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই। তা না হলে এগুতে পারবো না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ঢাবিতে যে সমস্যাটা হয়েছে, তার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি যাতে দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি আজও (বৃহস্পতিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Be the first to comment on "প্রশ্নপত্র ফাঁসে কিছু শিক্ষক জড়িত : শিক্ষামন্ত্রী"

Leave a comment

Your email address will not be published.




nineteen − 15 =