শীর্ষ ব্যক্তিদের বাসভবনে বিমান হামলার পরিকল্পনা ছিল

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : বিমান নিয়ে ‘নাশকতার পরিকল্পনার’ অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফার্স্ট অফিসার সাব্বির এমামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাবের দাবি, বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাত করার পরিকল্পনা ছিল।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাব্বির বিমানের ফার্স্ট অফিসার হলেও তিনি সেপ্টেম্বর মাসে দারুস সালাম এলাকায় র‍্যাবের অভিযানের সময় নিহত জঙ্গি আবদুল্লাহর ‘সহযোগী’। গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন আবদুল্লাহ যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদের স্ত্রী ও সাব্বিরের মা সুলতানা পারভিন, পারভিনের আত্মীয় আসিফুর রহমান ও আলম।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র‍্যাবের পরিচালক (গণমাধ্যম) কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

 

কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সাব্বির ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ২০১০ সালে থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারওয়েজে চাকরি করেন। ওই বছরই তিনি বিমানের পাইলটের চাকরি নেন। বিমানের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে সাব্বির বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ চালাতেন। গত ৩০ অক্টোবর তিনি ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। তবে জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। নিহত জঙ্গি সারোয়ার জাহানের কাছ থেকে সাব্বির বায়াত গ্রহণ করেন। গুলশানে হোলি আর্টিজানে হামলার আগে ও পরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। এরই অংশ হিসেবে সাব্বির বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাতের পরিকল্পনা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া বিমানের যাত্রীদের জিম্মি করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও তাঁর ছিল।

মুফতি মাহমুদ বলেন, যেহেতু আজ (মঙ্গলবার) ভোরেই অপারেশন শেষ হয়েছে, সেহেতু বেশি তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ও সাব্বিরের প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে আমরা এমন পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত হতে পেরেছি।

সাব্বিরকে গ্রেফতারে এমন একটি পরিকল্পনা নস্যাৎ করে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বড় একটি বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা গেছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

 

জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে ৪ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর মাজার রোডের বর্ধন বাড়ি এলাকায় ‘কমল প্রভা’ নামের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র‍্যাব। যেখানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবদুল্লাহ, তাঁর দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই সহযোগী আত্মাহুতি দেয়।

Be the first to comment on "শীর্ষ ব্যক্তিদের বাসভবনে বিমান হামলার পরিকল্পনা ছিল"

Leave a comment

Your email address will not be published.




11 − 10 =