ঢাবির ঘ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আগের রাতে একটি ই-মেইল বার্তায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বলেন, আগের রাতে প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সকালে ছাপা হয়।

অভিযোগ উঠেছে— গতরাতে ভর্তিচ্ছুদের কাছে ই-মেইল বার্তায় ইংরেজি বিভাগের প্রশ্নের একটি কপি পাঠানো হয়েছিল। যেটি শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। এছাড়াও শুক্রবার মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমেও ভর্তিচ্ছুদের প্রশ্ন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অনেক পরীক্ষার্থীরা।

তবে অভিযোগকারীদের কেউই গণমাধ্যমে সরাসরি কথা বলতে রাজি নন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, গতরাতেই মেইলের একটি কপি তার হাতে আসে। যা আজকের প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, রাতে প্রশ্নফাঁস হয়ে থাকলে সেটি এখন কেন অভিযোগ আকারে আসছে? সেটি তো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে আসতে পারত। কিংবা পরীক্ষা চলাকালে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন প্রিন্ট করা হয় সকালে সুতরাং আগের রাতে কারো কাছে প্রশ্নের কপি যাওয়া অসম্ভব।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ডিজিটাল জালিয়াতির দায়ে ১২ জন ভর্তিচ্ছু এবং গতরাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম ও সিআইডির বিশেষ অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে জালিয়াত চক্রের তিন মাস্টারমাইন্ডকে আটক করা হয়েছে। আটক ১২ ভর্তিচ্ছুকে এক মাস করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। বাকি চক্রের তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আটক ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী রয়েছেন। যারা জালিয়াত চক্রের হোতা। ক-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার আগ থেকে তাদের খুঁজছিল সিআইডি। এরা হলেন— পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা এবং ফলিত রসায়ন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাকি ১২ ভর্তিচ্ছু হলেন— নুর মোহাম্মাদ মাহবুব, ফরহাদুল আলম রানা, ইশরাক হোসেন রাফি, আব্দুল্লাহ আল মুকিম, রিশাদ কবির, আসাদুজ্জামান মিনারুল, ইশতিয়াক আহমেদ, জয় কুমার সাহা, রেজওয়ানা শেখ শোভা, মাশুকা নাসরীন, তারিকুল ইসলাম এবং নাসিরুল হক নাহিদ।

Be the first to comment on "ঢাবির ঘ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ"

Leave a comment

Your email address will not be published.




2 × five =